সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ad

পিপল অফ দ্য ইয়ার’ হলেন করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী তুর্কি-জার্মান মুসলিম দম্পতি

 

পিপল অফ দ্য ইয়ার’ হলেন করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী তুর্কি-জার্মান মুসলিম দম্পতি


ফাইজার-বায়োএনটেক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পিছনে থাকা দম্পতি উগুর শাহিন ও ওজলেম তুরেসিকে ‘পিপল অব দ্য ইয়ার’ খেতাবে ভূষিত করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি)। বুধবার এক নিবন্ধে এফটি বলেছে, ‘এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করে এই দম্পতি একটি দুর্দান্ত বৈজ্ঞানিক ও ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছেন।’


দৈনিকটিকে ডা: শাহিন বলেন, ‘আমরা নার্ভাস ছিলাম’।‘পরীক্ষাগারের বাইরে প্রথমবারের মতো বাস্তবিক বিশ্বের মানুষের ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়টি ভিন্ন একটি বিষয়,’ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন ডা: শাহিন।ডা: উগুর শাহিন ও তার স্ত্রী ডা: ওজলেম তুরেসির ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা ওষুধ কোম্পানি বায়োএনটেক তার মার্কিন অংশীদার ফাইজারের সাথে মিলে পরীক্ষামূলক টিকা তৈরি করতে সক্ষম হয়।


বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী শাহিন তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষে ভ্যাকসিনটির ইতিবাচক ফলাফল ঘোষণা করেন এবং তাদের এই প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সঙ্কটের অবসান ঘটাতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রথম ঘোষণায় তিনি বলেছিলেন, টিকাটি কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ৯০% সুরক্ষা দিয়েছে। তবে পরে এই হারটি এখন ৯৫%-এ উন্নীত হয়েছে।


‘ভ্যাকসিনের প্রথম তৈরীকারকরা যেহেতু বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য দুই নিয়ামক শক্তির অনুমোদন পেতে যাচ্ছে সে হিসেবে এফটি’র পুরস্কারটি ডা: শাহিন এবং ডা: তুরেসি পেল,’ জানায় এফটি।‘তারা একটি অসাধারণ বৈজ্ঞানিক এবং ব্যবসায়িক সাফল্যের গল্পের প্রতীক’।


অভিবাসীদের সাফল্য

ঘোষণার পর জার্মানির অনকোলজি এবং ইমিউনোলজি জগতের খ্যাতিমান বিজ্ঞানী শাহিন ও তুরেসির সফলতা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হয়েছিল।উভয় বিজ্ঞানীই জার্মানির ৩ মিলিয়নের শক্তিশালী তুর্কি সম্প্রদায়ের সদস্য উল্লেখ করে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ লিখে, ‘এই ভ্যাকসিনের পিছনের জার্মান দম্পতি হলো একটি অভিবাসী সাফল্যের গল্প।’


জার্মান দৈনিক ডের টাগেস্পিগেল শিরোনাম করেছিল, ‘অভিবাসীদের সন্তানরা যেভাবে বিলিয়নিয়ার হলো : করোনা-ভ্যাকসিনের পিছনের দম্পতি।’ পত্রিকাটি তাদের সাফল্য বর্ণনা দিতে গিয়ে এটিকে একটি সফল উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছে।শাহিন এবং তুরেজা দু’জনই ১৯৬০-এর দশকে তুরস্ক থেকে জার্মানিতে পাড়ি জমানো অভিবাসী বাবা-মায়ের সন্তান।


১৯৬৫ সালে তুরস্কের ইস্কেন্দারুনে জন্মগ্রহণকারী শাহিন চার বছর বয়সে জার্মানিতে এসেছিলেন। সেখানে তার বাবা একটি গাড়ির কারখানায় কাজ করতেন। তিনি কোলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং বেশ কয়েক বছর সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে কাজ করেছেন।


তুরেসি ইস্তাম্বুল থেকে জার্মানি চলে আসা তুর্কি চিকিৎসকের মেয়ে। তিনি সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন অনুষদে চিকিৎসা বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তিনি জার্মানিতে ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপির পথিকৃৎ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ