সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ad

বে’শি সুন্দরী ব’উ হলে যত বি’পদ! দেখু’ন বি’স্তারিত প্র’মাণ সহ

 


আমাদের সমাজে বিয়ের বাজারে ডানা কা’টা পরীর মত বউয়ের কদর অনেক বেশি। আর তাই যেমন করেই হোক একজন সুন্দরী বউ জীবন স’ঙ্গী হিসেবে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকেন প্রায় সব পুরু’ষই।


কিন্তু স’মস্যাটা তখনই হয় যখন অন্যদের চোখে স্বা’মীর চাইতে অনেক বেশি আ’কর্ষণীয় হয়ে ওঠেন স্ত্রী। আজ আমরা আলোচনা করব বউ সুন্দরী হলে স্বা’মীর বা সুন্দরী বউয়ের যে ধরনের স’মস্যার মুখোমুখি হতে হয় সেসব বি’ষয় নিয়ে।


পারিবারিক স’মস্যা: সুন্দরী মে’য়েদের অভিভাবকরা তাদের মে’য়ের জন্য সুন্দর ছেলে খুঁজে থাকেন। আর তাই পাত্রের চেহারা যদি ভালো না হয় তাহলে তাকে মে’য়ের পরিবার থেকে নানান রকম আ’পত্তিকর কথা শুনতে হতে পারে।

আবার বিয়ে হয়ে গেলেও বউয়ের বাবার বাড়িতে আপনার মূ’ল্যায়ন খুব একটা করা নাও হতে পারে। তাছাড়া শালিকাদের তাচ্ছিল্য ভরা হাসির মুখেও পড়তে পারেন। সামাজিক বিতর্ক: বউ যদি বরের চাইতে অনেক বেশি আ’কর্ষণীয় হয় তাহলে নানান রকমের কটুক্তি, বিতর্কও হয়।


এক্ষেত্রে সমাজের মানুষজন বলা বলি করতে থাকে এতো সুন্দর মে’য়েটা এটা কি বিয়ে করেছে কিংবা দুজনকে একদমই মানাচ্ছে না! এদিকে শ্বশুর বাড়িতেও আশে-পাশের


লোকজন বউয়ের কানেও নানাকথা শুনায়-এত সুন্দর বউয়ের জামাই দেখতে ক্যামন, কি দেখে বিয়ে দিল বা করল এই জামাইকে, বর-কনে একটুও মানায়নি ইত্যাদি নানা কথা।সমাজের মানুষের এসব বিতর্ক চাইলেও সহজে এড়ানো যায়না।


অহেতুক স’ন্দে’হ: স্ত্রী খুব বেশি আ’কর্ষণীয় ও সুন্দরী হলে পুরু’ষদের মনে স’ন্দে’হের জ’ন্ম নিতে পারে। স্ত্রীর বন্ধু, সহকর্মীদের কে নিয়ে অহেতুক মনের মাঝে নানা রকম স’ন্দে’হের উদ্রেক হতে পারে।


বর দেখতে অসুন্দর হলে মনের মধ্যে সব সময় স্ত্রী’কে হা’রানোর ভ’য় কাজ করে, তার চেয়ে সুদর্শন পুরু’ষের দিকে আবার স্ত্রী আকৃ’ষ্ট হলো কি-না। আত্মবিশ্বাসের অভাবে এরকম ভেবে থাকে।


কিন্তু এরকম ভাবা ঠিকনা। বর দেখতে যেমনই বা যত খা’রাপই হোক তার ভাল ব্যবহার, সততা, বিশ্বাস ও ভালবাসা দিয়ে স্ত্রী’কে বোঝাতে হবে ভে’তরের সৌন্দর্যই আসল। এবং সে ভাল মন ও সৎ চরিত্রের অধিকারী অর্থাৎ সে-ই সেরা। স্বা’মীর আরও বোঝাতে হবে- কে তার চেয়ে বেশি ভাল কেউ বাসতে পারতো না।


হীনমন্যতা: স্ত্রী যদি আপনার চাইতে আ’কর্ষণীয় হয় তাহলে স্বা’মী সারাক্ষণই হীনমন্যতায় ভুগতে পারেন। নিজের অজান্তেই তার মন হীনমন্যতায় ভোগা শুরু করে। ফলে নানান রকম সামাজিক অনুষ্ঠান ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে সে মানুষজনের সামনে যেতে চাইবেন না। মনের কোনো এক কোণে স্ত্রীর প্রতি হিংসা জ’ন্মে যেতে পারে। এত খুজেঁ সেরা সুন্দরী বিয়ে করে ভু’ল ভাবনা ও দূর্বল মা’নসিকতার কারণে সেই বেশি সৌন্দর্য্যই কাল হয়ে দেখা দিতে পারে।


বন্ধু থেকে শ’ত্রু: স্ত্রী খুব সুন্দরী হলে স্বা’মীর বন্ধুরাই শ’ত্রুতে পরিণত হতে পারে। স্বা’মীর খুব কাছের বন্ধুরাই নতুন বউয়ের সাথে আলাপ করতে চাইতে পারে। বন্ধুর স্ত্রীর স’ঙ্গ পাওয়ার জন্য যখন তখন সুজোগ খুঁজতে পারে তারা।এমনকি বন্ধুর প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে তার সুন্দরী স্ত্রীর সামনে বন্ধুকে ছোট করারও চেষ্টা করতে পারে।


এক্ষেত্রে নতুন বউয়ের হয় যত জ্বা’লা স্বা’মীর বন্ধুদের সাথে কথা কম বললেও সবাই অসামাজিক বলে কথা শুনাতে ছাড়েনা, আবার বেশি কথা বললেও কেউ বা স্বা’মী স্ত্রী’কে স’ন্দে’হের দৃষ্টিতে দেখতে পারে।

নতুন বউ অনেক সময় বুঝে উঠতে পারেনা কেমন আচরণ করবে। বউয়ের পক্ষে এমন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়া ক’ষ্ট হয়। এক্ষেত্রে স্বা’মীদেরই উচিত উদার মনের পরিচয় দিয়ে স্ত্রী’কে সাহায্য করা, কার সাথে কিভাবে মিশতে হবে বলে দেয়া।


নিরাপত্তাহীনতা: স্ত্রী খুব সুন্দরী ও আ’কর্ষণীয় হলে স্বা’মীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাদের মনে সবসময় স্ত্রী’কে হা’রানো ভ’য় কাজ করে। তাই সম্প’র্ক নিয়ে সারাক্ষণ উৎকন্ঠায় থাকেন তারা। কিন্তু এভাবে মনে মনে উল্টা-পাল্টা চিন্তা করে মা’নসিক শান্তি ন’ষ্ট না করে স্ত্রীর সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করুন। কোথাও স’মস্যা মনে হলে খোলা-মেলা আলোচনা করে পরিষ্কার থাকুন।একটা কথা সব সময় স্বা’মীদের মাথায় রাখা উচিত, স্ত্রী মা-বাবা,ভাই-বোন সবাইকে ছেড়ে আপনার কাছে এসেছে, স্বা’মীকে কিছুই ছাড়তে হয়নি। তাই স্ত্রী’কে সব সময় স’ন্দে’হের চোখে না দেখে ভালবাসুন, নিজে আত্মবিশ্বাসী হোন, স্ত্রী’কেও বিশ্বাস করুন। কারণ বিশ্বাস আর ভালবাসাই হচ্ছে সংসারে মূ’লভিত্তি, সু’খের চাবিকাঠি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ