সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ad

এবার সন্ধান মিলেছে গোল্ড মনির কোন দলের পেছনে তার টাকা পয়সা খরচ করতেন

 



কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান থেকে শত কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া গোল্ডেন মনিরকে নিয়ে সারাদেশে চলছে ব্যাপক আলোচনা এবং তার এই অবৈধ পথে আসার ঘটনা ও সবার জানা। ক্রোকারিজ ব্যবসা থেকে শুরু করে লাগেজের ব্যবসা এবং সর্বশেষে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে যুক্ত হওয়া গোল্ডেন মনির রাতারাতি বনে গিয়েছিলেন কোটিপতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এমন তথ্য উঠে এসেছে এবং তার বাড়ি থেকে বিলাসবহুল কয়েকটি গাড়ি পাওয়া গেছে এগুলোর কোনো অনুমোদন নেই


অপরাধ জগতের সম্রাট গোল্ড মনিরের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৯৩০ কোটি টাকা লেনদেনের সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চার ব্যাংকের ২৫টি অ্যাকাউন্টে এসব টাকার খোঁজ মিলেছে। ওইসব অ্যাকাউন্টে ৫৪২ কোটি টাকা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। তাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বিএনপি-জামায়াতে অর্থায়নের বিষয়টিও। এ ছাড়া তিনি কিনেছেন বড় হাউজিং কোম্পানির শেয়ার। মালয়েশিয়ায় তার বিরুদ্ধে টাকা পাচারেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।


তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুদিন আগে গোল্ড মনির বিএনপি নেতা, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মালয়েশিয়ায় পলাতক কাইয়ুমের মালিকানাধীন একটি হাউজিং কোম্পানির শেয়ার কিনে নেন। এরপর মানি লন্ডারিং করে কয়েক শ কোটি টাকা মালয়েশিয়ায় পাচার করে কাইয়ুমের কাছে পাঠিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বিএনপি-জামায়াতে অর্থায়ন ছাড়াও বাস পোড়ানোসহ বিভিন্ন /না/শ/ক/তা/য় গোল্ড মনিরের সংশ্লিষ্টতার খবর রয়েছে। পাশাপাশি বড় একটি হাউজিংয়ের পরিচালক পদ নেওয়ার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে প্লট ও বাড়ি রয়েছে তার। বিএনপির হয়েও তিনি ক্ষমতাসীন নেতাদের ম্যানেজ করে জমি দখল, জাল জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং এবং সোনা চোরাচালানে লিপ্ত ছিলেন।


তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, অল্প দিনে গোল্ড মনিরের এত সম্পদের মালিক হওয়ায় তারা হতবাক। এ যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতো, শূন্য থেকে কোটিপতি হওয়ার কাহিনি। তারা বলছেন, অবৈধ প্রভাব আর অনৈতিক কাজের মাধ্যমে একজন দোকান কর্মচারী কীভাবে হয়ে ওঠেন হাজার কোটি টাকার মালিক, তা গোল্ড মনির গ্রেফতার হওয়ার পর বের হয়ে আসছে একে একে। সূত্র জানান, গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত গোল্ড মনিরের চার ব্যাংকের ২৫টি অ্যাকাউন্টে ৯৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১১০ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছেন তিনি। যদিও গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) আয়কর রিটার্নে তার সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছে মাত্র ২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ ছাড়া গত অর্থবছরে গোল্ড মনিরের বার্ষিক আয় ১ কোটি ৪ লাখ টাকা দেখানো হয়।


সম্প্রতি রাজধানীর মেরুল বাড্ডা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে শুধু তাই নয় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ এবং অবৈধ অর্থ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গোল্ডেন মনিরের বাড়িতেঅভিযান পরিচালনার পর আরো বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এবং সেইসাথে গোল্ডেন মনিরের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ