সাম্প্রতিক

6/recent/ticker-posts

ad

শ্বশুরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে অনশনে নববধূ

 

সাভারে স্ত্রীর অধিকার দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশন করছেন শান্তা ইসলাম নামে এক নববধূ। গত ২ দিন ধরে ওই বাড়িতে অনশন করছেন যশোরের ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরের খলিফা পাড়ার মেয়ে শান্তা ইসলাম।

জানা গেছে, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে শান্তার বিয়ে হয় সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা সচিব রোডের নজরুল ইসলামের ছেলে সাগরের সঙ্গে। কিন্তু দুই মাসের মাথায় শান্তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি।

এ ঘটনায় শান্তা সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করতে গেলে খবর পেয়ে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

শান্তা ইসলাম জানান, ফেসবুকের সূত্র ধরে পরিচয়ের কিছুদিনের মধ্যে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক সাগর বেশ কয়েকবার ঝিকরগাছায় শান্তাদের বাড়িতে বেড়াতে যান। তাদের বেশ কয়েকটি দূর পাল্লার বাস ও দোতলা বাড়িসহ সম্পদ আছে বলে জানান সাগর।

সরল মনে শান্তাও তা বিশ্বাস করেন। পরে সাভারে সাগরদের বাসায় গেলে তার বাবা নজরুল ইসলামের পরামর্শে গত ১৬ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে কাজী অফিসে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

কিন্তু বর্তমানে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মেনে নিতে চাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করে আহত করা হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে চলে না গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।

শান্তা ইসলাম আরও জানান, তাদের হুমকি ধামকিতে সে চলে না যাওয়ায় শ্বশুর নজরুল ইসলাম তাকে কুপ্রস্তাব দেন।

শান্তা দাবি করেন, বাবার বাড়ি থেকে চলে আসার সময় নগদ দুই লাখ টাকা ও প্রায় ৩ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন। সেই টাকাও সাগর ও তার বাবা নিয়ে তাদের বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।

শান্তার ধারণা, তার শ্বশুর সাগরকে কোথাও সরিয়ে আটকে রেখেছে। সর্বশেষ ৩ দিন আগে সাগর তাকে এসএমএস করে জানিয়েছিল তার বাবা তাকে আটকে রেখেছিল।

এ বিষয়ে সাগর ও তার বাবা নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

অনশনরত শান্তা তার দাবির বিষয়টি সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি তাকে পুলিশ পাঠানোর আশ্বাস দেন এবং পুলিশ পাঠিয়ে তার খোঁজ খবর নেন।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে এবং মেয়েটিকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ